বিষয় | যান্ত্রিক আবহবিকার | রাসায়নিক আবহবিকার |
সংজ্ঞা | আবহাওয়া বিভিন্ন উপাদান যেমন বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি এবং সূর্যালোক, নদী, জলরাশি, তুষারপাত, হিমবাহ প্রভৃতি দ্বারা শিলার উপরিস্তর বা অভ্যন্তরে ক্রিয়ার ফলে শিলা যান্ত্রিকভাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে স্বস্থানে অবস্থান করলে তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে। | বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন গ্যাস, জল ও অম্লের প্রভাবে শিলা রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয় এবং শিলা মধ্যস্থ মূল খনিজগুলি নতুন গৌণ খনিজে পরিবর্তিত হয়, একে রাসায়নিক আবহবিকার বলে। |
পদ্ধতি | আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের দ্বারা শিলা যান্ত্রিকভাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। | রাসায়নিকভাবে শিলা নিয়োজিত হয়। |
কার্যকারী অঞ্চল | যান্ত্রিক আবহবিকার মরু, মরুপ্রায় ও পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ কার্যকারী। | রাসায়নিক আবহবিকার উষ্ণ আর্দ্র, নিরক্ষীয়, ক্রান্তীয় মৌসুমী ও সাবানা জলবায়ু অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। |
খনিজের পরিবর্তন | যান্ত্রিক আবহবিকারের ফলে শিলা খনিজের মৌল পরিবর্তন ঘটে না। | রাসায়নিক আবহবিকারের ফলে শিলা খনিজের মৌল পরিবর্তন ঘটে এবং প্রধান খনিজ গৌণ খনিজে পরিবর্তিত হয়। |
ধর্ম পরিবর্তন | এই আবহবিকারে শিলার কেবল ভৌত পরিবর্তন ঘটে। | এই আবহবিকারে শিলার ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। |
শনাক্তকরণ | যান্ত্রিক আবহবিকারে মূল শিলাকে শনাক্তকরণ সম্ভব। | রাসায়নিক আবহবিকারে মূল শিলাকে শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। |
উপাদান | এই আবহবিকারের উষ্ণতা, জল ও আর্দ্রতা প্রধান ভূমিকা নিয়ে থাকে। | এই আবহবিকারে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাস ও জল প্রধান ভূমিকা নিয়ে থাকে। |
ক্রিয়াকালীন প্রক্রিয়া | এটি সশব্দ প্রক্রিয়া। | এটি নিঃশব্দ প্রক্রিয়া। |
পদ্ধতি সমূহ | শল্কমোচন, ক্ষুদ্র কণা বিশরণ, প্রস্তর চাঁই বিচ্ছিন্নকরণ ইত্যাদি। | জারণ, অঙ্গার যোজন, জল যোজন, দ্রবণ ও আর্দ্র বিশ্লেষণ ইত্যাদি। |