খনিজ কাকে বলে ? বৈশিষ্ট্য

খনিজ

প্রকৃতি প্রদত্ত প্রধানত কেলাসিত, সমসত্ব ও এমন একটি অজৈব উপাদান যার নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পারমাণবিক গঠন আছে তাকে খনিজ বলে।

উদাহরণ– কোয়াটর্জ, অভ্র, ফেল্ডসপার, হর্নব্লেড প্রভৃতি।

খনিজের বৈশিষ্ট্য

১) খনিজের নিজস্ব আকার, বর্ণ, কাঠিন্য, গঠন আপেক্ষিক গুরুত্ব বর্তমান।

২) কোন কোন খনিজ কেবল একটি মৌলিক উপাদানে গঠিত হতে পারে।

  • যেমন– সোনা, রুপা প্রভৃতি।

৩) আবার কোনও খনিজ দুই বা ততোধিক মৌলিক উপাদান নিয়ে গঠিত যৌগিক পদার্থ হতে পারে।

  • যেমন– গোলাপি রঙের অর্থোক্লেজ ফেল্ডসপার- পটাশিয়াম (মূল উপাদান), অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন এবং অক্সিজেন দিয়ে গঠিত।

৪) অধিকাংশ খনিজ একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন যুক্ত বা সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

  • উদাহরণ– কোয়াটর্জ যার রাসায়নিক সংকেত SiO2

৫) খনিজের কাঠিন্য দেখে খনিজকে কঠিন, মধ্যম ও অল্প কাঠিন্যে ভাগ করা।

  • যেমনহীরার কাঠিন্য সবচেয়ে বেশি। ট্যাল্ক এর কাঠিন্য সবচেয়ে কম।

৬) প্রতিটি শিলার একটি নির্দিষ্ট আপেক্ষিক গুরুত্ব থাকে। যা 1.5 – 2.0 পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৭) ফাটল বা চিড় দাগ খনিজের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

  • যেমন– ফেল্ডসপারের ফাটল সিঁড়ির মত ধাপে ধাপে।

৮) প্রত্যেকটি খনিজের নিজস্ব বর্ণ ও দ্যুতি বর্তমান।

  • যেমন– কোয়াটর্জ এর দ্যুতি কাঁচের ন্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *