চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পর ব্রিটিশ সরকার ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে রাজমহল পাহাড়ি এলাকা দামিন-ই-কোহ হিসাবে চিহ্নিত করে।
এই অঞ্চল ভারতের আদিম জনগোষ্ঠী সাঁওতালরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চাষযোগ্য করে তুলেছিল। কিন্তু অচিরেই বহিরাগত দিকু অর্থাৎ মহাজন, জমিদার, ব্যবসায়ী, জোতদারেরা এই অঞ্চল অধিকার করে ফেলে।
এই বহিরাগত ব্যবসায়ী, মহাজনেরা নামমাত্র দাম দিয়ে সাঁওতালদের কাছ থেকে ফসল কিনতে থাকে। এই কেনাবেচার জন্য তারা বিশেষ দুই ধরনের বাটখারা ব্যবহার করত, যথা- কেনারাম ও বেচারাম।
কেনারাম
কেনারাম বাটখারাটি হল নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে বেশি ওজনের বাটখারা।
এর সাহায্যে ব্যবসায়ীরা সাঁওতালদের কাছ থেকে বেশি ওজনের জিনিসপত্র নিয়ে ওজনে কম দেখিয়ে ঠকাতো।
- কেনারাম বাটখারাকে ‘বড় বাউ‘ ও বলা হত।
বেচারাম
বেচারাম বাটখারাটি হল নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে কম ওজনের বাটখারা।
ব্যবসায়ীরা সাঁওতালদেরকে জিনিসপত্র বিক্রি করার সময় অপেক্ষাকৃত হালকা ওজনের এই বাটখারায় মেপে পরিমাণে কম দিয়ে প্রতারিত করত।
- বেচারাম বাটখারাকে ‘ছোট বাউ‘ ও বলা হত।
- সাঁওতাল বিদ্রোহের অসংখ্য কারণগুলির মধ্যে এই কেনারাম বেচারাম বাটখারা অন্যতম কারণ ছিল।