হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল সার্ক বা করি
সার্ক বা করি (Cirque or Corries)
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট হাতলওয়ালা ডেকচেয়ার বা আরামকেদারার ন্যায় ভূমিরূপকে ফরাসি ভাষায় সার্ক ও ইংরেজিতে করি বলে।
উৎপত্তি
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ নিচের দিকে নামার সময় অবঘর্ষ ক্রিয়ার ফলে হিমবাহ উপত্যকা একদিকে ক্ষয় পেয়ে খুব খাড়া ঢাল যুক্ত হয়, মধ্যবর্তী অংশ গর্তের মতো গভীর হয় এবং অপর দিক উন্মুক্ত থাকে। এটিকে দেখতে তখন অনেকটা হাতলওয়ালা ডেক চেয়ার বা আরাম কেদারার মত হয়ে থাকে।
বৈশিষ্ট্য
1) সার্ক বা করির তিনটি অংশ থাকে। যথা
- i) পেছনের খাড়া ঢালকে বলে খাড়া মস্তক প্রাচীর (Head Wall)।
- ii) মধ্যবর্তী গভীর গর্তের মত অংশকে বলে বেসিন (Basin)।
- iii) সম্মুখের চৌকাঠের ন্যায় উন্মুক্ত অংশকে বলে করিওষ্ঠ (Threshold)।
2) উৎপাটন প্রক্রিয়ার জন্য করির পৃষ্টপ্রাচীর খুব খাড়া ও অমসৃণ হয় এবং অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার জন্য করির মধ্যভাগে বেসিন সৃষ্টি হয়।
3) বরফ মুক্ত হলে এই ভূমিরূপ দৃশ্যমান হয়।
4) করির মধ্যভাগ অংশে হিমবাহ গলা জল সঞ্চিত হয়ে যে হ্রদ সৃষ্টি করে তাকে করিহ্রদ বা টার্ন (Turn) বলে।
উদাহরণ
সিয়েরা নেভেদা, রকি পর্বতে এই রূপ সার্ক বা করি দেখা যায়। আন্টার্টিকার ওয়ালকট সার্ক পৃথিবীর গভীরতম সার্ক।