হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল হিমশিরা বা অ্যারেট অথবা এরিট।
হিমশিরা বা অ্যারেট/ এরিট
পাশাপাশি দুটি করি গঠিত হলে তাদের মধ্যবর্তী খাড়া, সংকীর্ণ ছুরির ফলার মত তীক্ষ্ণ পর্বত প্রাচীরটিকে হিমশিরা বা অ্যারেট অথবা এরিট বলে।
উৎপত্তি
হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট দুটি সার্ক বা করির মাঝখানে একটি বিভাজিকা অঞ্চল থাকে। হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে করিদ্বয় অধীর ক্ষয়প্রাপ্ত হলে মধ্যবর্তী বিভাজিকা অঞ্চলটি সংকীর্ণ হতে হতে অবশেষে ক্ষুরধার ও সংকীর্ণ হয়ে শৈলশিলার আকারে অবস্থান করে। এইরূপ করি বিভাজনকারী ক্ষুরধার, সংকীর্ণ শৈলশিরাকে হিমশিরা বা অ্যারেট অথবা এরিট বলে।
বৈশিষ্ট্য
1) অ্যারেটের শীর্ষদেশ ছুরির ফলার ন্যায় তীক্ষ্ণ বা করাতের দাঁতের ন্যায় খাঁজকাটা হয়ে থাকে।
2) অ্যারেটের ঢাল খুব খাড়াই হয়।
3) অ্যারেটের কোন অংশ ভেঙ্গে গেলে, এক সার্ক থেকে অন্য সার্ক -এ যে পথ সৃষ্টি হয় তাকে গিরিপথ বা Pass বলে।
উদাহরণ
গঙ্গোত্রী হিমবাহের নীলকন্ঠ পর্বতে, আল্পস পার্বত্য অঞ্চলে এরূপ অ্যারেট দেখা যায়।