পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একদিকে মসৃণ ও অপর দিকে অসমতল ভূমিরূপকে রসে মোতানে বলে।
- 1804 খ্রিস্টাব্দে ভূ-বিজ্ঞানী বেনেডিক্ট ডি সসার প্রথম রসে মোতানে (Roche Moutonnee) শব্দটি ব্যবহার করেন।
উৎপত্তি
পার্বত্য অঞ্চলে কোন কোন স্থানে কঠিন শিলাখণ্ড সঞ্চিত হয়ে ঢিবির সৃষ্টি হয়। হিমবাহের প্রভাব পথে এইরূপ কোন ঢিবি অবস্থান করলে, তার উপর দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হবার সময় চাপ ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার ফলে ঢিবির প্রতিবাত ঢাল, অর্থাৎ হিমবাহ প্রবাহের দিকটি মসৃণ, চকচকে, আঁচড়যুক্ত হয়। কিন্তু অনুবাত ঢাল, অর্থাৎ বিপরীত দিকটি উৎপাটন প্রক্রিয়ার ফলে ভগ্ন, অসমতল, অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই রূপ ভূমিরূপকে বলা হয় রসে মোতানে।
বৈশিষ্ট্য
i) রসে মোতানে প্রকৃতপক্ষে একটি উঁচু ঢিপি।
ii) এই ভূমিরূপের হিমবাহ প্রবাহের দিকটি মসৃণ ও ঢাল যুক্ত হয় এবং বিপরীত দিকটি অসমতল হয়ে থাকে।
iii) এই প্রকার ভূমিরূপের বিস্তৃতি ও দৈর্ঘ্য স্বল্প এবং উচ্চতা 30-50 মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
iv) ফরাসি ভাষায় ‘রসে মতানে‘ কথাটির অর্থ ভেড়ার মাথা।
v) রসে মোতানের মসৃণ ঢালকে ‘স্টস‘ ও অমসৃণ ঢালকে ‘লি‘ বলে।
উদাহরণ
কাশ্মীর উপত্যকায় ঝিলামের উপনদী লিডার নদী উপত্যকায় এই প্রকার ভূমিরূপ দেখা যায়।