বায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল গৌর বা গারা।
- জার্মানি ভাষায় গৌরকে পিটজফেলসন (Pitzfelsen) বলে।
গৌর
মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে ব্যাঙের ছাতার মত দেখতে প্রশস্ত উপরিভাগ ও সরু নিম্নাংশ যুক্ত পাথরের অবশিষ্ট অংশকে গৌর বলে।
উৎপত্তি
মরু অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের সময় প্রধানত ভূপৃষ্ঠ থেকে 1 মিটারের মধ্যে অধিক পরিমাণে বালুকণা পরিবহণ করে থাকে, এর প্রভাবে বায়ুর প্রবাহের পথে কোন শিলাস্তুপ উলম্বভাবে অবস্থান করলে, ওই শিলাস্তুপের নিম্নাংশে অধিক ক্ষয় হয় তুলনায় উপরের অংশে কম ক্ষয় হয়ে থাকে। ফলে ব্যাঙের ছাতার আকৃতি বিশিষ্ট ওই শিলাস্তুপের অবশিষ্টাংশরূপে গৌর সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় শিলাস্তপের নিচে কমল শিলা ও ওপরে কঠিন শিলা অবস্থান করলে, অসম ক্ষয় কার্যের ফলে এই প্রকার ভূমিরূপ তৈরি হয়
বৈশিষ্ট্য
i) গৌর সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে 1-1.5 মিটার উঁচুতে অবস্থান করে।
ii) বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার ফলে গৌর সৃষ্টি হয়।
iii) ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে বলে এদের Mushroom Rock বা Mushroom Landform বা Rock Pedestal ও বলা হয়।
iv) অনেক সময় রাসায়নিক বিক্রিয়া হলে গৌর এর উপরিভাগে এক ধরনের চকচকে কমলা-বাদামী রঙের প্রলেপ পড়ে, একে Desert Varnish বলে।
v) একাধিক গৌরকে একত্রে গারা বলে।

উদাহরণ
সাহারা ও ইরান মরুভূমিতে অসংখ্য গৌর দেখা যায়।