বার্খান বালিয়াড়ি । উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য

মরু অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল বার্খান বালিয়াড়ি।

  • বার্খান শব্দটি একটি তুর্কি শব্দ যার অর্থ হলো বালির পাহাড়

বার্খান বালিয়াড়ি

বায়ু প্রবাহের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে গঠিত অর্ধচন্দ্রকৃত বালিয়াড়িগুলিকে বার্খান বালিয়াড়ি বলে।

উৎপত্তি

বায়ু প্রবাহের সমান্তরালে ও তির্যক বালিয়াড়ির পাশ বরাবর কোন কারণে ছোট ছোট ঘূর্ণির সৃষ্টি হলে তির্যক বালিয়াড়ির প্রান্ত ভাগগুলি বেঁকে শিং-এর ন্যায় হয়ে যায় এবং বার্খান সৃষ্টি করে।

বৈশিষ্ট্য

1) বার্খান বালিয়াড়ির উচ্চতা সাধারণত 15-35 মিটার এবং প্রস্থ 40-70 মিটার হয়ে থাকে।

2) এই ভূমিরূপের প্রতিবাদ ঢাল মৃদু প্রায় 10° থেকে 15° এবং অনুবাদ ঢাল অপেক্ষাকৃত খাড়া হয় প্রায় 35°।

3) বার্খানের অবতল দিক বায়ুর দিকমুখী বিস্তৃত বালির পাখা বা শিং-এর মত শিরা দেখা যায়।

4) বায়ু প্রবাহের সঙ্গে এই বালিয়াড়ি ক্রমশ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

5) বার্খানের বায়ুপ্রবাহের দিকটি উত্তল এবং বিপরীত দিকটি অবতল প্রকৃতির হয়।

বার্খান বালিয়াড়ি কাকে বলে - চিত্র - ছবি
বার্খান বালিয়াড়ি

উদাহরণ

কালাহারি, সাহারা মরুভূমি সহ প্রায় সকল মরুভূমিতেই বার্খান বালিয়াড়ি পরিলক্ষিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *