বাংলার সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের অবদান

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার - কল্পনা দত্ত - বীণা দাস - শান্তি ও সুনিতি - উজ্জলা মজুমদার - দীপালি সংঘ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নারীদের অবদান বারে বারে উঠে আসে। ভারতকে ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত করতে পুরুষদের পাশপাশি নারীদের অবদানও কোনও অংশে কম নেই। উনিশ শতকে ভারতের নারীরা মূলত অন্তঃপুরবাসিনী হিসাবেই থাকতো। তবে উনিশ শতকের শেষ এবং বিশ শতকের শুরুর দিকে এদেশের নারীরাও মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসে। হাতে…

Read Moreবাংলার সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের অবদান

টীকা- মাতুয়া আন্দোলন

টীকা লেখ - মাতুয়া আন্দোলন

ভারতীয় অনুন্নত জাতিসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল মতুয়া সম্প্রদায়। বিশ শতক নাগাদ তারা সংগঠিত আন্দোলনের সূচনা করে। মাতুয়া কারা অবিভক্ত বাংলায় নিম্নবর্গের হিন্দু তফশিলি জাতিগুলির মধ্যে মাতুয়ারা ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তর সম্প্রদায়। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত জনগণনার রিপোর্টে এদেরকে ‘পোদ‘ বলে চিহ্নিত করা হয়। এদের অধিকাংশই ছিল গরিব, কৃষক ও শ্রমিক- যারা দীর্ঘদিন…

Read Moreটীকা- মাতুয়া আন্দোলন

মহারানীর ঘোষণাপত্র ও তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব

মহারানীর ঘোষণাপত্র ও তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ভারতে ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও ইতিহাসে সৃষ্টি করেছিল একটি নতুন অধ্যায়। কেননা মহাবিদ্রোহ দমন করার পর ভারতে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থা প্রভূত পরিবর্তন করা হয়। মহারানী ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধি রূপে ভারতে এসে ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং, এলাহাবাদের অনুষ্ঠিত এক দরবারে যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন (১৮৫৮ সালের…

Read Moreমহারানীর ঘোষণাপত্র ও তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব

মুন্ডা বিদ্রোহের কারণ, বিস্তার, ফলাফল ও গুরুত্ব

বিরসা মুন্ডা - মুন্ডা বিদ্রোহ - কারণ - বিস্তার - ফলাফল - গুরুত্ব

ভারতের ছোটনাগপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাজুড়ে মুন্ডা উপজাতিদের আবাসস্থল। এই মুন্ডা উপজাতিরা তাদের ‘ধরতি আবা‘ বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তা মুন্ডা বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মুন্ডাদের এই বিদ্রোহ ‘উলগুলান’ বা ভয়ংকর বিশৃংখল নামেও পরিচিত। বিদ্রোহের কারণ একটি বিপ্লব বা বিদ্রোহ কেবল একটি কারণের জন্য সংগঠিত…

Read Moreমুন্ডা বিদ্রোহের কারণ, বিস্তার, ফলাফল ও গুরুত্ব

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা

ব্রিটিশ শাসনের সূচনা কালে ব্রিটিশ শাসকরা এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি। তবে উনিশ শতকের শুরু থেকে এদেশে ইংরেজি শিক্ষা প্রসার লাভ করতে শুরু করে। বাংলায় তথা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু করে রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়, ডেভিড হেয়ার এবং স্যার এডওয়ার্ড হাউড ইস্ট প্রমুখের…

Read Moreপাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা

ভারত সভা । নেতৃবর্গ । উদ্দেশ্য ও কার্যকলাপ

ভারত সভা - উদ্দেশ্য - কার্যকলাপ - নেতৃবর্গ - জাতীয় আন্দোলন

প্রাক কংগ্রেস যুগে ভারত সভা ছিল একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ভারত সভা পরিচালিত আন্দোলন এদেশে সুসংহত আন্দোলন গঠনের পূর্ব মহড়া। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে জুলাই সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ভারত সভা (Indian Association) গঠন করেন। নেতৃবর্গ কলকাতার অ্যালবার্ট হলে এক জন সমাবেশে ভারত সভা সংগঠনটি গড়ে ওঠে। শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু, দ্বারকানাথ…

Read Moreভারত সভা । নেতৃবর্গ । উদ্দেশ্য ও কার্যকলাপ

টীকা লেখ – ওয়ার্কস অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি

ওয়ার্কস অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি কি । টিকা লেখ

ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে কমিউনিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যার ফলশ্রুতি হিসাবে শ্রমিক আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা লাভ করে। আর এই শ্রমিক আন্দোলনের স্বার্থে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে। এমনই একটি সংগঠন হলো ওয়ার্কস অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি। গঠন ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ১লা নভেম্বর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্তর্গত লেবার…

Read Moreটীকা লেখ – ওয়ার্কস অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি

সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল

১৮৫৭ খৃস্টাব্দে সংগঠিত হওয়া সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল ও গুরুত্ব

দীর্ঘদিন ব্রিটিশের হাতে জর্জরিত শোষিত এবং অত্যাচারিত ভারতবাসীদের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশই হল সিপাহী বিদ্রোহ। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত হয় সিপাহী বিদ্রোহের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ১) আধুনিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা সিপাহী বিদ্রোহকে নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে ভারতের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়। এই সংগ্রামের হাত ধরে আধুনিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা হয়। অত্যাচারিত ব্রিটিশ…

Read Moreসিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল

সিপাহী বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ

সিপাহী বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ - এনফিল্ড রাইফেল - মঙ্গল পান্ডে

১৮৫৭ সালে সংঘটিত হওয়া এই সিপাহী বিদ্রোহের কারণ ছিল একাধিক। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক, ধর্মনৈতিক ও সামরিক কারণগুলি ছাড়াও এনফিল্ড রাইফেলের ব্যবহার এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ কারণ বলা যেতে পারে- ১) এনফিল্ড রাইফেল ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল নামে এক ধরনের বন্দুক প্রবর্তন করা  হয়। এই বন্ধুকে পশুর চর্বি মিশ্রিত কার্তুজ দাঁতে…

Read Moreসিপাহী বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ

সিপাহী বিদ্রোহের পরোক্ষ কারণ

মহা বিদ্রোহ বা সিপাহী বিদ্রোহ Indian Rebellion of 1857

১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের গভর্নর জেনারেল পদে লর্ড ক্যানিং নিযুক্ত হওয়ার পর ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত হয় সিপাহী বিদ্রোহ। উত্তর ও মধ্য ভারত জুড়ে ঘটিত এই বিরাট গণবিদ্রোহ ব্রিটিশ শাসনকে সমূলে উৎখাত করার একটি বৃহত্তম প্রচেষ্টা হিসাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। কোম্পানির সেনাবাহিনীর মধ্যে এই বিদ্রোহ শুরু হয়ে ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে যায়।…

Read Moreসিপাহী বিদ্রোহের পরোক্ষ কারণ