অসম্পূর্ণ প্রকটতা কি এবং এর পরীক্ষা

অসম্পূর্ণ প্রকটতা - পরীক্ষা - চেকার বোর্ড

অসম্পূর্ণ প্রকটতা (Incomplete dominance) হল মেন্ডেলের সূত্রের একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই ঘটনাটি বিজ্ঞানী কার্ল কোরেন্স সন্ধ্যামালতী বা Mirabilis jalapa (4 ‘O’ clock plant নামে পরিচিত) উদ্ভিদে প্রথম আবিষ্কার করেন। মেন্ডেলের একসংকর এবং দ্বিসংকর জনন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে সংকরায়নের ফলে হেটারোজাইগাস বা সংকর অবস্থায় সর্বদাই প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু…

Read Moreঅসম্পূর্ণ প্রকটতা কি এবং এর পরীক্ষা

জৈব অভিব্যক্তি সম্পর্কে ল্যামার্কের মতবাদ

জৈব অভিব্যক্তি সম্পর্কে ল্যামার্কের মতবাদ - জিরাফের লম্বা গলার চিত্র

ল্যামার্কবাদ বিজ্ঞানী ল্যামার্ক (1744–1829) সর্বপ্রথম বিবর্তন সম্পর্কিত সুসংগঠিত ব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তাঁর লেখা ‘ফিলোজফি জুওলজিক‘ (1809) বইয়ের মাধ্যমে। তিনি তার ব্যাখ্যাগুলোকে সূত্র বা তত্ত্বের আকারে প্রকাশ করেছিলেন যাদের ল্যামার্কিজম বা ল্যামার্কবাদ বলা হয়। তার দেওয়া কিছু ধারণা পরবর্তীকালে ভুল প্রমাণিত হলেও তাঁর কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিবর্তন সম্পর্কিত…

Read Moreজৈব অভিব্যক্তি সম্পর্কে ল্যামার্কের মতবাদ

মেন্ডেলের দ্বিসংকর জনন পরীক্ষা

মেন্ডেলের দ্বি সংকর জনন পরীক্ষা - দ্বি সংকর জনন পরীক্ষার ছক সহ চেকার বোর্ড - উদ্ভিদ

একই প্রজাতির দুই জোড়া বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে জনন সম্পাদিত হলে তাকে বলে দ্বিসংকর জনন। বিজ্ঞানী মেন্ডেল  দ্বিসংকর জননের পরীক্ষার জন্য মটর গাছকেই নির্বাচন করেছিলেন। তিনি এখানে মটর গাছের দুই জোড়া বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরীক্ষাটি করেন। উদ্ভিদের দ্বিসংকর জনন মেন্ডেল দ্বিসংকর জনন পরীক্ষার জন্য বিশুদ্ধ হলুদ…

Read Moreমেন্ডেলের দ্বিসংকর জনন পরীক্ষা

কোষ কাকে বলে ও প্রকারভেদ

কোষ কাকে বলে ও প্রকারভেদ - প্রাণী কোষের চিত্র

কোষ জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত একককে কোষ বলে।  কোষ জীবদেহের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক। প্রতিটি জীবদেহ এক বা একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত। কোষ জীবদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এককোষ থেকে আরেক কোষে পরিবহন করে। এছাড়াও কোষের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।  1665 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক (Robert Hooke) তার তৈরি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের…

Read Moreকোষ কাকে বলে ও প্রকারভেদ

মেন্ডেলের এক সংকর জনন পরীক্ষা

মেন্ডেলের এক সংকর জনন পরীক্ষা চিত্র - mendels-monohybrid-cross

একই প্রজাতির একজোড়া বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে জনন সম্পাদিত হলে তাকে বলে একসংকর জনন। এক সংকর জননের উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে লম্বা বৈশিষ্ট্য ও বেঁটে বৈশিষ্ট্যযুক্ত দুটি মটর গাছের মধ্যে সংকরায়ন। বিজ্ঞানী মেন্ডেল তার 120 ফুট লম্বা এবং 20 ফুট চওড়া বাগানে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত মটর গাছের…

Read Moreমেন্ডেলের এক সংকর জনন পরীক্ষা

মাইটোসিস কোষ বিভাজন । বিভিন্ন দশা ও গুরুত্ব

মাইটোসিস কোষ বিভাজন - বিভিন্ন দশা - প্রোফেজ - মেটাফেজ - অ্যানাফেজ - টেলোফেজ

মাইটোসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে? যে জটিল ও ধারাবাহিক কোশবিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি পরিণত দেহ মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম একবার মাত্র পরোক্ষ বিভাজনের মাধ্যমে বিভাজিত হয় এবং সমআকৃতি,সমগুন ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোম সহ দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয় তাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন এর বিভিন্ন দশা গুলি মাইটোসিস কোশ বিভাজন…

Read Moreমাইটোসিস কোষ বিভাজন । বিভিন্ন দশা ও গুরুত্ব

মাইটোসিস ও মিয়োসিস এর পার্থক্য

মাইটোসিস ও মিয়োসিস এর পার্থক্য - Difference Between Mitosis and Meiosis

মাইটোসিস ও মিয়োসিস এর পার্থক্যগুলি হল- বিষয় মাইটোসিস মিয়োসিস স্থান মাইটোসিস দেহ মাতৃকোষে সংঘটিত হয়। মিয়োসিস জনন মাতৃকোষ রেনু মাতৃকোষ এবং কখনো কখনো ভ্রুণানুতে সংঘটিত হয়। কোষের প্রকৃতি এই প্রকার কোষ বিভাজন হ্যাপ্লয়েড বা ডিপ্লয়েড কোষে ঘটে। এই প্রকার কোষ বিভাজন সর্বদা ডিপ্লয়েড কোষে ঘটে। নিউক্লিয়াস ও  সাইটোপ্লাজমের বিভাজন সংখ্যা…

Read Moreমাইটোসিস ও মিয়োসিস এর পার্থক্য

ইথিলিন কি উদ্ভিদ হরমোন ? এর শারীরবৃত্তিয় ভূমিকা ও ব্যবহারিক প্রয়োগ

ইথিলিন -এর রাসায়নিক গঠন ইথিলিন -এর রাসায়নিক গঠন

সাধারণ উষ্ণতায় ইথিলিন একটি গ্যাসীয় পদার্থ। নেলজুবো (Neljubow), 1901 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ইথিলিন গ্যাস প্রয়োগে উদ্ভিদের মূলের খর্বতা এবং এর অনুভূমিকভাবে বৃদ্ধির ব্যাপারে উল্লেখ করেন। পরবর্তীকালে গেনী (Gane, 1934) ইথিলিনকে ফল পরিপক্কতায় উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক পদার্থ রূপে গণ্য করেন। উদ্ভিদ হরমোন হিসাবে ইথিলিন 1967 সালে আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ শরীর বিদ্যা সম্মেলন এর…

Read Moreইথিলিন কি উদ্ভিদ হরমোন ? এর শারীরবৃত্তিয় ভূমিকা ও ব্যবহারিক প্রয়োগ

সাইটোকাইনিন কি? বৈশিষ্ট্য ও কাজ

বার্ধক্য বিলম্বিতকরণ - সাইটোকাইনিন

সাইটোকাইনিন হলো কোষ বিভাজন কালে কোষের কোষপ্রাচীর তৈরিতে সাহায্যকারী হরমোন। 1955 খ্রিস্টাব্দে মিলার ও সহকর্মীবৃন্দ (Miller et all) হেরিং মাছের শুক্রানুর DNA থেকে কোষ বিভাজনের সক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং তারা এই সক্রিয় পদার্থটিকে কাইনেটিন (Kinetin) নামে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে ল্যাথাম (Letham, 1963)  অপরিণত ভুট্টা বীজ থেকে জিয়াটিন নামক…

Read Moreসাইটোকাইনিন কি? বৈশিষ্ট্য ও কাজ

জিব্বেরেলিন কি ? বৈশিষ্ট্য ও কাজ

বীজের অঙ্কুরোদ্গম - জিব্বেরেলিন Germination of seeds - Gibberellin

জিব্বেরেলিন হলো অক্সিন এর মতোই অপর একটি প্রধান উদ্ভিদ হরমোন। এটি মূলত বীজের সুপ্তদশা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদগমে সাহায্যকারী হরমোন। জাপানি বিজ্ঞানী কুরোসোয়া (Kurosawa) 1926 খ্রিস্টাব্দে ব্যাকানে (Bakanae) রোগাক্রান্ত ধান গাছের অতিকায় বৃদ্ধির জন্য জিব্বেরেল্লা ফুজিকুরই (Gibberella fujikuroi) নামক ছত্রাক থেকে নিঃসৃত পদার্থের (জিব্বেরেলিন) কথা উল্লেখ করেন। 1938 খ্রিস্টাব্দে য়াবুতা (Yabuta)…

Read Moreজিব্বেরেলিন কি ? বৈশিষ্ট্য ও কাজ