আবহবিকার ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের পার্থক্য গুলি হল-
আবহবিকার | পুঞ্জিত ক্ষয় |
আবহাওয়া ও বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি এবং সূর্যালোক, নদী, জলরাশি, তুষারপাত, হিমবাহ প্রভৃতি দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপর পরিবর্তিত শিলা স্তর তৈরি করলে তাকে আবহবিকার বলে। | ভূপৃষ্ঠের অংশবিশেষ বা আবহবিকারপ্রাপ্ত শিলাখণ্ড, মৃত্তিকা প্রধানত অভিকর্ষের টানে ভূমির ঢাল বরাবর নেমে আসে বা মূল স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলা হয়। |
এই প্রক্রিয়ায় শিলাখন্ড চূর্ণ-বিচূর্ণ বা বিয়োজিত হয়ে স্বস্থানে অবস্থান করে। | এই প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ীভূত শিলাখণ্ড বা পদার্থ স্বস্থানে অবস্থান করে না। |
আবহবিকারের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন- উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা বায়ু প্রভৃতি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। | পুঞ্জিত ক্ষয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত অভিকর্ষজ বল মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। |
শল্কমোচন, ক্ষুদ্র কণা বিশরণ, প্রস্তর চাঁই বিচ্ছিন্নকরণ, অঙ্গার যোজন, জল যোজন, দ্রবণ -প্রভৃতি প্রক্রিয়ায় বিভক্ত। | প্রপাত, ধস, প্রবাহ -প্রভৃতি প্রক্রিয়ায় বিভক্ত। |