কার্যকরী সৌর বিকিরণ ও অ্যালবেডো

ভূ-পৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের প্রধান তাপ শক্তির উৎস হল সূর্য।

সম্পূর্ণ সূর্য থেকে যে পরিমাণ সৌরশক্তি নির্গত বা বিকিরিত হয় তার মাত্র  1/200 কোটি ভাগ পৃথিবীতে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উর্ধ্বসীমায় আগত সৌর শক্তির পরিমাণকে 100 ইউনিট ধরে পার্থিব হিট বাজেট বর্ণনা করা যায়।

সৌরশক্তি বায়ুমন্ডলে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে আসায় সময় বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদান দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে কিছু অংশ মহাশূন্য ফিরে যায় বাকি অংশ বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে।

হিসেব করে দেখা গেছে যে, পৃথিবীতে আগত মোট সৌর রশ্মির 66% ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। এই 66% সৌরবিকিরণকে কার্যকরী সৌরবিকিরণ বলে।

বাকি 34% সৌরবিকিরণ পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল কে উত্তপ্ত না করে সরাসরি মহাশূন্যে ফিরে যায়।

এই ফিরে যাওয়া সৌরবিকিরণের 25% মেঘপুঞ্জ থেকে, 7% বায়ুমণ্ডল থেকে এবং 2% সরাসরি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়।

এই মোট 34% সৌরবিকিরণ ও রশ্মি বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করতে কোন ভূমিকা পালন করে না, একে অ্যালবেডো বলা হয়।

কার্যকরী সৌর বিকিরণ ও অ্যালবেডো কাকে বলে - চিত্র
কার্যকরী সৌর বিকিরণ ও অ্যালবেডো

অবশিষ্ট 66% কার্যকারী সৌরবিকিরণের ক্ষুদ্র তরঙ্গ গুলি যখন বায়ুমন্ডলে পৌঁছায় তখন তার 19% বায়ুমণ্ডলীয় জলীয় বাষ্প, ধুলিকণা, কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য তাপ শোষক পদার্থ দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে শোষিত হয়।

বাকি শতকরা 47% পৃথিবী দ্বারা গৃহীত হয়।

এই 47% মধ্যে 19% প্রত্যক্ষ সূর্য রশ্মি রূপে, 5% আলোক বিকিরণ থেকে, 23% মেঘ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *