সিপাহী বিদ্রোহের পরোক্ষ কারণ

১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের গভর্নর জেনারেল পদে লর্ড ক্যানিং নিযুক্ত হওয়ার পর ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত হয় সিপাহী বিদ্রোহ।

উত্তর ও মধ্য ভারত জুড়ে ঘটিত এই বিরাট গণবিদ্রোহ ব্রিটিশ শাসনকে সমূলে উৎখাত করার একটি বৃহত্তম প্রচেষ্টা হিসাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

কোম্পানির সেনাবাহিনীর মধ্যে এই বিদ্রোহ শুরু হয়ে ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে যায়।

শুধুমাত্র সেনাবাহিনী নয় অগণিত কৃষক শিল্পী ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী বীরত্বের সাথে এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।

Table of Contents

সিপাহী বিদ্রোহের পরোক্ষ কারণ

১৮৫৭ সালে সংঘটিত হওয়া এই বিদ্রোহের কারণ ছিল একাধিক। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ধর্মনৈতিক ও সামরিক কারণগুলি উল্লেখযোগ্য।

ক) রাজনৈতিক কারণ

সিপাহী বিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণগুলি হল-

১) দেশীয় রাজাদের ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে থেকেই দেশীয় রাজাদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল।

মহীশূর অধিপতি হায়দার আলীর নেতৃত্বে মহীশূর হায়দ্রাবাদ ও মারাঠা এই তিনটি রাজ্যের মিলিত একটি শক্তি সংঘ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছিল।

যদিও ওয়ারেন হেস্টিং এর কূটনৈতিকের ফলে এই শক্তি সংঘ ভেঙ্গে যায়।

২) স্বত্ববিলোপ নীতি

ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ নীতি দেশের রাজাদের মনে আশঙ্কা ও ব্রিটিশদের প্রতি ঘৃণার উদ্রেক করেছিল।

ব্রিটিশ সরকার এই নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে সাতরা, নাগপুর, ঝাঁসি, সম্বলপুর প্রভৃতি রাজ্যগুলোকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

নবাবদের বৃত্তি ও নানা সাহেবের বৃত্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ নানাসাহেব ও ঝাঁসির রানী এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষভাবে যোগদান করেন।

ডালহৌসি মোগল সম্রাটের উপাধি পর্যন্ত বিলুপ্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এই প্রচেষ্টা মুসলমান সম্পদের মধ্যে এক অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল।

৩) অযোধ্যার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্তি হওয়া

কুশাসনের অভিযোগে অযোধ্যা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভুক্ত করা হয় এবং অমানুষিক বর্বরতার সাথে অযোধ্যা এবং নাগপুরের রাজপ্রাসাদ লুট করা হয়।

এর ফলে অযোধ্যা রাজ্যের সকল মানুষজন, জমিদার, মুসলমান, সামরিক, ব্যবসায়ী, কৃষক এবং অভিজাত পরিবার ও ব্রিটিশদের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

এর প্রতিক্রিয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত নানান রাজ্যগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

৪) আশ্রিত রাজ্যের কুশাসন

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত রাজ্যগুলোতে সুশাসনের ফলে সিপাহী বিদ্রোহের পূর্বেই কয়েকটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।

যেমন ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের সেনাবাহিনীর ভাতা হ্রাস করা হলে সেনাবাহিনী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং বিদ্রোহে পরিণত হয়।

১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে ত্রিবাঙ্কুরের দেওয়ান ভেপু তম্পি বিদ্রোহী হয়ে কালিকোটের রাজাকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন।

৫) আদিম জাতি গুলির বিক্ষোভ

ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদী নীতির হাত হতে আদিম জনজাতিগুলোও রক্ষা পায়নি। ১৮৩১- ৩২ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হওয়া কোল অভ্যুত্থান আদিম জাতিগুলির ব্রিটিশদের প্রতি বিদ্রোহী মনোভাবের চরম নির্দশন।

মানভূমের ভূমজী, সিংভূমের কোলারী, উড়িষ্যার খন্দ, ভিল, সাঁওতাল প্রভৃতি আদিম জাতিগুলি ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল।

খ) অর্থনৈতিক কারণ

সিপাহী বিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণগুলি গুরুত্বপূর্ণ-

১) জমিদার শ্রেণীর বিরোধী মনোভাব

সিপাহী ২) কৃষকদের আর্থিক দুরাবস্থাবিদ্রোহের বহু পূর্বেই ভারতের প্রায় সর্বত্র ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব দানা বাধতে শুরু করে।

ব্রিটিশ শাসনের প্রথম থেকেই বাংলার জমিদারদের মনে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তীব্র থেকে তিব্রতর হতে থাকে।

বাংলাদেশে রাজস্ব সংক্রান্ত সংস্কারের ফলে কৃষক চাষী ও জমিদার শ্রেণী প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।

কর্নওয়ালিস কর্তৃক প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বহু প্রাচীন জমিদার পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। এই অবস্থার ফলে কৃষক ও চাষী শ্রেণীর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল।

কর্ণাটক অঞ্চলের পলিগাররা কতগুলি শর্তের বিনিময়ে নিজ এলাকায় স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারতেন।

কিন্তু কর্ণাটক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হওয়ায় পলিগাররা ব্রিটিশ বিরোধী হয়ে ওঠে।

ব্রিটিশ সরকার সেই বিদ্রোহ দমন করে এবং পলিগারদের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করে।

২) কৃষকদের আর্থিক দুরাবস্থা

ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক শোষণ ও অত্যাচারের হলে ভারতের চিরাচরিত অর্থনৈতিক বুনিয়াদ ধ্বংস হতে বসেছিল। এর ফলে অগণিত কৃষক, শিল্পী, ছোট বড় জমিদার ও নায়েবরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিল।

ব্রিটিশদের ভূমি ও ভূমি সংক্রান্ত নীতি, আইন ও প্রশাসন ব্যবস্থা ভারতের অর্থনীতির উপর চরম আঘাত এনেছিল।

বিশেষভাবে রাজস্ব নীতির ফলে ছোট বড় চাষী ও কৃষকরা মহাজনদের নিকট ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং সর্বশেষে সর্বশ্রান্ত হয়ে ভূমিহীন শ্রমিকে পরিণত হয়।

রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি, কৃষকদের উপর অতিরিক্ত কর ধার্য প্রভৃতি নানা কারণ মহাবিদ্রোহে মূলে ইন্ধন যোগাতে শুরু করেন।

মাদ্রাজে রায়তওয়ারি ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তন করে ব্রিটিশরা ভূমি রাজস্বের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি করে, এর ফলে কৃষকের আর্থিক দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছিল এবং দলে দলে তারা গ্রামাঞ্চল ত্যাগ করতে শুরু করে।

৩) কুটির শিল্পের বিলুপ্তি

ভারতের কৃষি ও বাণিজ্য যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে সে সময় ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটে।

সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় বস্ত্র ইংল্যান্ডের রপ্তানি করা হতো কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ইংল্যান্ডের শিল্পজাত দ্রব্যাদি ভারতে আমদানি হতে শুরু করে।

ইংল্যান্ডে ভারতীয় রেশম বস্ত্রের আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

অপরদিকে ইংল্যান্ডের শিল্পজাত সামগ্রীর বিপুল আমদানির ফলে ভারতের কুটির শিল্প গুলির বিলুপ্তি ঘটে।

গ) সামাজিক কারণ

সিপাহী বিদ্রোহের সামাজিক কারণ গুলি হল-

১) ভারতের প্রতি ঘৃণা

সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ইংরেজদের ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণিত মনোভাব। সাধারণত ইংরেজীরা ভারতবাসীদের বর্বর হিসাবে চিহ্নিত করত এবং ইচ্ছাকৃতভাবেই ভারতবাসীদের সংস্পর্শ বর্জন করে চলত।

এমনকি সরকারি ভারতীয় উচ্চপদস্থ কর্মচারীও কোন ইংরেজ কর্মচারী সম্মুখীন হতে ভয় পেতেন

২) হিন্দু ধর্মের প্রতি ঘৃণিত মনোভাব

খ্রিস্টান মিশনারিগুলি প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্মের মূর্তি পূজা ও সামাজিক সংস্কারগুলিকে নিন্দা করত।

মিশনারি গুলি ক্রমাগত হিন্দুধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থার প্রতি আক্রমণ করে ইংরেজ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিরাট ব্যবধান গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

এছাড়াও সমাজের নিচু স্তরের হিন্দু সম্প্রদায় লোকদের খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে প্রলুব্ধ করত।

৩) বিচ্ছিন্নতা

ইংরেজরা ভারতীয় সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ, ঐতিহ্যকে ঘৃণার চোখে দেখতে শুরু করেছিল।

এর ফলে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হতে  ইংরেজরা ভারতবর্ষের নিকট সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ঘ) ধর্মীয় কারণ

সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত হবার পিছনে ধর্মনৈতিক কারণগুলো ছিল অনস্বীকার্য।

১) ধর্মান্তরিত হওয়ার ভয়

বিদেশীয় সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি নীতি ভারতবাসীর মনে গভীর আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল।

খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রকাশ্যভাবে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার, হিন্দু ও মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার প্রচেষ্টা, জেলখানার কয়েদিদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে পাদরীদের নিয়মিত যাতায়াত হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আশঙ্কার সৃষ্টি করে যে ইংরেজদের উদ্দেশ্য হলো ভারতবাসীদের ধর্মান্তরিত করা।

পরবর্তীকালে গঙ্গা নদীতে জল সেচ ব্যবস্থা, বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন এবং ভারতীয় বালিকাদের মনে পাশ্চাত্য শিক্ষার উদঘাটন প্রভৃতি কর্মকাণ্ড সনাতনপন্থী হিন্দুদের মনে এমন আতঙ্কের সৃষ্টি যে সতীদাহ প্রথার মতো নিশংস প্রথার উচ্ছেদও ইংরেজদের ধর্মান্তরিত করার প্রচেষ্টা মাত্র হিসাবে তাদের মনে চরম আঘাত আনে।

এছাড়াও মন্দির ও মসজিদের খাস জমির উপর এবং ধর্মীয় সংস্থানগুলোর উপর খাজনা ধার্য করা হয়।

২) ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রভাব

ইংরেজদের বিরুদ্ধে মুসলমান সম্প্রদায়ের মনেও একই রকম আতঙ্কে সৃষ্টি হতে থাকে।

ধর্মান্তরিত হওয়ার ভয় থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে মুসলমান সম্প্রদায় বঞ্চিত হবার ফলে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তারা জিহাদ ঘোষণা করে।

মূলত ধর্ম সংস্কার আন্দোলন হিসেবে উৎপত্তি হলেও ওয়াহাবি আন্দোলন পরবর্তীকালে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে এই আন্দোলনের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ঙ) সামরিক কারণ

ভারতবাসী সাধারণ মানুষের মনে ব্রিটিশদের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও সিপাহীরা ব্রিটিশদের প্রতি যতদিন অনুগত ছিল ততদিন পর্যন্ত সেই বিদ্রোহ সম্মিলিতভাবে বহি:প্রকাশের সুযোগ ঘটেনি।

১) সমাজের আর্থিক দুরবস্থা

ভারতীয় সিপাহীরাও ছিল ভারতীয় সমাজের অংশ এবং এই কারণে সমাজের অন্যান্যদের মতো তাদের মধ্যেও ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে থাকে।

ব্রিটিশ শাসনকালে সমাজে নানা স্তরের মানুষেরা যেভাবে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছিল সিপাহী সেই দুরবস্থা থেকে মুক্তি পায়নি।

২) ধর্মান্তরিত হওয়ার ভয়

অন্যান্য মানুষজনের মত সিপাহীদের মনেও ধর্মান্তরিত হবার ভয় তীব্র হতে শুরু করে। কিছু ধর্মান্ধ ইংরেজ কর্মচারী সিপাহীদের মধ্যে ধর্ম প্রচার করতে থাকে।

এছাড়াও যখন সামরিক কর্তৃপক্ষ সিপাহীদের কপালে তিলক লেপন, দাড়ি রাখা ও পাগড়ি পড়া নিষিদ্ধ করলে সিপাহীরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

৩) দূর দেশে গমন

সে যুগে সমুদ্র যাত্রা ছিল গোঁড়া হিন্দুদের কাছে অধার্মিক।

১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত এক আইন অনুসারে সামরিক ক্ষেত্রে যে কোন সিপাইকে বহুদূর দেশে যেতে বাধ্য করা হলে সিপাহীদের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে।

৪) বৈষম্যমূলক পারিশ্রমিক

পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও ইংরেজ ও ভারতীয় সৈনিকদের মধ্যে বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

সামরিক ক্ষেত্রে দূর দেশে থাকাকালীন ইংরেজ সৈন্যরা ভাতা পেতো কিন্তু ভারতীয় সিপাহিদের বঞ্চিত করা হতো।

৫) বৈষম্যমূলক পদোন্নতি

পদোন্নতির ক্ষেত্রেও বৈষম্যমূলক আচরণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। অভিজ্ঞ ভারতীয় সামরিক কর্মচারী বা সিপাহীদের পদোন্নতির কোন সুযোগ ছিল না।

অপরপক্ষে ইংরেজ কর্মচারী বা সৈনিকদের উচ্চ পদে নিযুক্ত করা হতো।

৬) আনুপাতিক হার

সেনাবিভাগে ইংরেজ সৈনিক অপেক্ষা ভারতীয় সৈনিকরা ছিল সংখ্যায় অধিক। দিল্লি, এলাবাদ, কলিকাতা প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থানের সেনানিবাসে ইংরেজ সেনা ছিল স্বল্প পরিমাণ। এর ফলে ভারতীয় সৈনিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল।

৭) ক্রিমিয়ার যুদ্ধে হার

ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ইংরেজদের পরাজয়ের পর ভারতীয় সিপাহীদের মনে এক আশার আলো সঞ্চারিত হয়। দেশ থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয় এই ধারণা বদ্ধমূল হতে শুরু করে সিপাহীদের মনে।

উপসংহার

সিপাহী বিদ্রোহ শুধুমাত্র যে ভারতীয় সেনাদের মনে আসন্তোষ পুঞ্জীভূত হয়েছিল এমন নয়, প্রধানত এই বিদ্রোহের মূলে ছিল কোম্পানির প্রশাসন ও বিদেশী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *