১৮৫৭ সালে সংঘটিত হওয়া এই সিপাহী বিদ্রোহের কারণ ছিল একাধিক। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক, ধর্মনৈতিক ও সামরিক কারণগুলি ছাড়াও এনফিল্ড রাইফেলের ব্যবহার এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ কারণ বলা যেতে পারে-
১) এনফিল্ড রাইফেল
১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল নামে এক ধরনের বন্দুক প্রবর্তন করা হয়। এই বন্ধুকে পশুর চর্বি মিশ্রিত কার্তুজ দাঁতে কেটে বন্দুকে ভর্তি করতে হতো। ভারতীয় সিপাহীদের মধ্যে এই কথা শীঘ্রই প্রচারিত হতে শুরু করে যে শূকর ও গরু চর্বি মিশ্রিত কার্তুজের প্রচলন করে ব্রিটিশ সরকার হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের সম্প্রদায়ের ধর্মনাশ করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই জনরব ভ্রান্ত বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত এক দারুণ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
২) মঙ্গল পান্ডের বিদ্রোহ
মহাবিদ্রোহ বা সিপাহী বিদ্রোহের ক্ষেত্র আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজের ঘটনাটি ইন্ধন যোগাতে শুরু করে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ২৯ শে মার্চ ব্যারাকপুর সেনানিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামে এক সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তাতে গোটা ভারতবর্ষে মহাবিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছিল।