ড্রামলিন কাকে বলে ? বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিভাগ

হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল- ড্রামলিন (Drumlin) কথাটির অর্থ ঢিবি

সংজ্ঞা

হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে সৃষ্ট দীর্ঘায়িত উল্টানো নৌকা বা চামচের আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে।

উৎপত্তি

হিমবাহ অধ্যুষিত এলাকায় হিমবাহ বাহিত বিভিন্ন আকৃতির ক্ষয়যাত পদার্থ যেমন- শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রকৃতি সঞ্চিত হয়ে উল্টানো নৌকো বা চামচের আকৃতির ঢিবি গড়ে ওঠে, এই প্রকার ঢিবিগুলিকে ড্রামলিন বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য

1) ড্রামলিনের অক্ষটি সর্বদাই হিমবাহ প্রবাহের দিকে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে।

2) ড্রামলিনের হিমবাহ প্রবাহের দিকটা অমসৃণ এবং বিপরীত দিকটা মসৃণ হয়।

3) ড্রামলিন সাধারণত 1 থেকে 2 km দীর্ঘ ও 400 থেকে 600 meter প্রশস্ত হয়।

4) এর উচ্চতা সাধারণত 15 থেকে 20 meter উঁচু হয়।

5) বহু ড্রামলিন একত্রে অবস্থান করলে তাদের মধ্যবর্তী অংশে হিমবাহ গলিত জল জমে জলাভূমি সৃষ্টি করে।

6) ড্রামলিন বহুল অঞ্চলকে Basket of Eggs Relief or Topography বলে।

প্রকারভেদ

ড্রামলিন প্রধানত দুই প্রকার-

A) গ্রাবসঞ্চিত ড্রামলিন

হিমবাহ বাহিত অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম পদার্থ বা গ্রাব দ্বারা সৃষ্ট।

B) শিলা ড্রামলিন

এই প্রকার ড্রামলিনগুলির সামনের অংশ শিলা দ্বারা গঠিত এবং পিছনের দিক গ্রাব দ্বারা গঠিত।

উদাহরণ

উত্তর আমেরিকার উত্তরাঞ্চল, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে বহু ড্রামলিন দেখা যায়।

ড্রামলিন চিত্র - ছবি
ড্রামলিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *