ক্ষয়ীভবন কাকে বলে । বৈশিষ্ট্য । উদ্দেশ্য । ক্ষয়সীমা

ক্ষয়ীভবন

ভূপৃষ্ঠের শিলা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়। এইসব চূর্ণ-বিচূর্ণ পদার্থ গুলি নানান প্রাকৃতিক শক্তি যেমন- নদী, সমুদ্র তরঙ্গ, বায়ু প্রবাহ, হিমবাহ ইত্যাদির দ্বারা বাহিত হলে বা স্থানচ্যুত হলে তাকে ক্ষয়ীভবন বলে। 

বৈশিষ্ট্য:

১) এই প্রক্রিয়ায় ক্ষয়িত উপাদানের স্থানচ্যুতি ঘটে।

২) এই প্রক্রিয়ায় পদার্থের স্থান পরিবর্তন হয় বলে এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। 

৩) এই প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে।

৪) এই প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের উচ্চতা কম হয় বলে একে অবরোহণ প্রক্রিয়া বলে।

৫) ঘর্ষণ, বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে শিলা ক্ষয় হয়ে নতুন ভূমির সৃষ্টি করে।

৬) ক্ষয়ীভবনের দ্বারা ভূপৃষ্ঠে ক্ষয় ও পরিবহন উভয় প্রক্রিয়ায় একসাথে ঘটে থাকে।

৭) এই প্রক্রিয়ার ফলে মূল শিলাস্তরের অভ্যন্তর ভাগ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

৮) আবহবিকার ছাড়াও শিলাস্তরের ক্ষয়ী ভবন সম্ভব।

প্রকারভেদ:

ক্ষয়ীভবন মূলত চার প্রকার

১) ঘর্ষণ

২) অবঘর্ষণ

৩) দ্রবণ

৪) আম্লিক

ক্ষয়ীভবনের উদ্দেশ্য

ক্ষয়ীভবন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসমতল ভূপৃষ্ঠ তলকে সমতলে পরিণত করে। অর্থাৎ ক্ষয়ীভবনের উদ্দেশ্য হল- মূলত ভূপৃষ্ঠকে সমান তলে পরিণত করা

ক্ষয়সীমা

ভূপৃষ্ঠ পরিবর্তনকারী বিভিন্ন শক্তি সমূহ ভূপৃষ্ঠকে ক্রমান্বয়ে ক্ষয় করতে করতে ঠিক কতটা নীচ পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জন ওয়েসলি পাওয়েল। তার মতে এই শক্তি সমূহ যতটা নীচ পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে তাই তাই হল ক্ষয়সীমা। 

  • সাধারণত সমুদ্রতল হলো শেষ বা প্রকৃত ক্ষয়সীমা।
প্রকৃত ক্ষয়সীমা ক্ষয়ীভবন
প্রকৃত ক্ষয়সীমা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *