জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM কী? জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে এর ভূমিকা

বর্তমানে বিভিন্ন কারণে জীববৈচিত্র্য বিপন্ন। বহু বন্যপ্রাণী পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ভারত সরকার এবং স্থানীয় মানুষদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেই কর্মসূচি গুলির মধ্যে অন্যতম হল জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM

জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM

ভারত সরকার স্বীকৃত স্থানীয় সাধারণ জনগণ এবং সরকারের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় বনজ সম্পদের পরিচালন ব্যবস্থাই হল জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM

 এই প্রকল্পটি সর্বপ্রথম শুরু হয়েছিল 1971 খ্রিস্টাব্দে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আরবারি অরণ্যে শাল গাছ বাঁচানোর জন্য।

একসঙ্গে অনেক শাল গাছ নষ্ট হওয়ায়, জঙ্গল অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যাওয়া শাল জঙ্গলের পুনরুদ্ধারের জন্য সেই অঞ্চলের স্থানীয় মানুষ এবং ফরেস্ট অফিসার এ কে ব্যানার্জি তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির সূচনা হয়। এই প্রকল্পের দ্বারা অরণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে JFM এর ভূমিকা

১.  বিভিন্ন রাজ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বনদপ্তরকে সক্রিয় সহযোগিতা করে JFM।

২.  বনে কোনরকম চোরাশিকরের ঘটনা ঘটলে তা বনদপ্তরকে জানানো অর্থাৎ, চোরা শিকারীদের হাত থেকে মূল্যবান উদ্ভিদ ও প্রাণীদের রক্ষা করা।

৩. বনদপ্তরের কর্মী  এবং স্থানীয় মানুষের সাহায্যে বনকে রক্ষা করা।

৪. দাবানল, বেআইনি পশুচারণ, বেআইনি খননকার্য, গাছ কাটা ইত্যাদি প্রতিরোধ করা।

৫. এছাড়াও সিলেভিকালচার বা বনজ উদ্ভিদ চাষের মাধ্যমে বন সংরক্ষণ করা।

৬. JFM  এর মাধ্যমে স্থানীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটানো এবং কর্মসংস্থান বাড়িয়ে জীব বৈচিত্রের ওপর মানুষের সংঘাত প্রতিহত করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *