ভূমি বিবর্তনের শেষ পর্যায়ে বা বার্ধক্য অবস্থায় নদী বিভাজিকাগুলির উচ্চতা হ্রাস পেলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উত্তল চালমুক্ত একটি নিম্ন সমতল ভূমি সৃষ্টি হয় যা সমপ্রায় ভূমি নামে পরিচিত।
এই সমপ্রায় ভূমির ওপর অপেক্ষাকৃত কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত কম ক্ষয়প্রাপ্ত টিবির মতো আকৃতি বিশিষ্ট পাহাড়গুলিকে মোনাডনক বলে।
উদাহরণ:
ছোটনাগপুর মালভূমির পরেশনাথ, পাঞ্চেৎ প্রভৃতি পাহাড় মোনাডনক।
বৈশিষ্ট্য:
১) মূলত নদীর ক্ষয় প্রক্রিয়ার ফলে অবশিষ্ট পাহাড় রূপে মোনাডনকের সৃষ্টি হয়।
২) সমপ্রায় ভূমির মাঝে, ক্ষয়চক্রের শেষ পর্যায়ে ইহা সৃষ্টি হয়।
৩) আর্দ্র কান্তীয় ও উপক্রান্তীয় কিংবা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলেও মোনাডনক গড়ে ওঠে।
৪) ইয়া সৃষ্টির জন্য জলধারা অধিক কার্যকারী।
৫) ইহা গম্বুজ আকৃতির বা শঙ্কু আকৃতির হয়ে থাকে তবে উচ্চতা ইনসেলবার্জের তুলনায় কম হয়।