শুষ্ক মরু অঞ্চলে বায়ুর ও জলধারা মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল পেডিমেন্ট।
- পেডিমেন্ট শব্দের অর্থ হলো (Pedi – পাদদেশ ও Mont – পর্বত) পর্বতের পাদদেশ।
- ভূবিজ্ঞানী জে কে গিলবার্ট 1882 খ্রিস্টাব্দে প্রথম পেডিমেন্ট শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
পেডিমেন্ট:
শুষ্ক মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে উচ্চভূমির পাদদেশে সৃষ্ট মৃদু ঢাল বিশিষ্ট ভূমিভাগকে পেডিমেন্ট বলে।
উৎপত্তি:
মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে একপ্রকার সমতল ভূমি সৃষ্টি হয়। এরূপ সমতলভূমির উপরের অংশ বেশ ঢালু হলেও তার নিচের অংশ মোটামুটি সমতল হয়ে থাকে। এর ফলে ছোট ছোট জলধারা বাহিত শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে সমভূমি গড়ে তোলে।
এইভাবে বায়ুর ক্ষয়কার্য ও জলধারার সঞ্চয় কার্যের মিলিত প্রভাবে মরু অঞ্চলের মধ্যস্থিত পার্বত্য অঞ্চলে পাদদেশে পেডিমেন্ট সমভূমি গড়ে ওঠে।
ভূবিজ্ঞানী সি এ লসনের মতে- আবহবিকারের ফলে পর্বত ঢালের পশ্চাদপসরণের ফলে পর্বতের পাদদেশে একটি শিলা ধাপের সৃষ্টি হয় যা ক্রমশ প্রসারিত হয়ে পেডিমেন্টের সৃষ্টি করে।
বৈশিষ্ট্য:
i) পেমেন্টের আকৃতি অবতল প্রকৃতির হয়।
ii) ছোট বড় শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে।
iii) ঊর্ধ্ব দিকে 70 এবং নিম্নদিকে 10 ডিগ্রী ধার যুক্ত হয়।
শ্রেণীবিভাগ:
প্রকৃতি অনুযায়ী পেডিমেন্টকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
i) আবৃত পেডিমেন্ট– বাজাদা দ্বারা আবৃত
ii) একাঙ্গীভূত পেডিমেন্ট– একাধিক পেডিমেন্ট মিলিত হয়ে সৃষ্ট
iii) ব্যবচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট– জলধারা দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত ও বিচ্ছিন্ন
উদাহরণ:
আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে পেডিমেন্ট পরিলক্ষিত হয়।
