সিফ বালিয়াড়ি । উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য

মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল সিফ বালিয়াড়ি।

সিফ বালিয়াড়ি

মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিপথের সমান্তরালে গঠিত দীর্ঘ ও সংকীর্ণ বালির শৈলশিরাকে সিফ বালিয়াড়ি বলে।

  • আরবি শব্দ Seif কথার অর্থ তরবারি

উৎপত্তি

ভূবিজ্ঞানী ব্যাগনল্ড -এর মতে বার্খান থেকে সিফ বালিয়াড়ির সৃষ্টি হয়।

মরু অঞ্চলে প্রধান বায়ু প্রবাহের সঙ্গে ঋতুভেদে তীর্যকভাবে বায়ু প্রবাহিত হলে বার্খান বালিয়াড়ির শিং দীর্ঘ প্রসারিত হতে হতে সিফ বালিয়াড়ির সৃষ্টি করে।

বৈশিষ্ট্য

1) সিফ বালিয়াড়ি বায়ু প্রবাহের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে।

2) এগুলি তরবারির ন্যায় সোজা প্রকৃতির হয়ে থাকে।

3) এই বালিয়াড়িগুলি দৈর্ঘ্যে বেশ বেশি, কিন্তু প্রস্থ খুব কম হয়, দৈর্ঘ্য 100 থেকে 150 কিমি পর্যন্ত।

4) বালিয়াড়িগুলি 100 মিটারেরও বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে।

5) এদের শিখর রেখাটি করাতে দাঁতের ন্যায় উঁচু নিচু।

6) দুইটি সিফ বালিয়াড়ি মধ্যবর্তী নিচু অংশকে কলিডোর বা গাসি বলে।

7) এদের পার্শ্ব ঢাল 20° মতো হয়ে থাকে।

8) বালিয়াড়ি গুলি প্রধানত সুক্ষ দানার বালুকণা দিয়ে গঠিত তাই এরা বায়ুর দ্বারা সহজেই অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে পারে।

সিফ বালিয়াড়ি কাকে বলে - চিত্র -ছবি
সিফ বালিয়াড়ি

উদাহরণ

অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে, সাহারা, কালাহারি, থর প্রভৃতি মরুভূমিতে প্রচুর সিফ বালিয়াড়ি লক্ষ্য করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *